আল আকসা ও মুসলিমদের প্রথম কেবলা

আল আকসা ও মুসলিমদের প্রথম কেবলা

আল আকসা ও মুসলিমদের প্রথম কেবলা

মক্কা ও মদীনার পর জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ কে ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিবছর ফিলিস্তিন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলিম আসেন এই মসজিদ প্রাঙ্গণে। মসজিদটি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। গত কয়েক বছর ধরেই আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইসরাইলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই এলাকাটি এত স্পর্শকাতর কেন? এর জন্য ফিরে তাকাতে হবে এর পিছনের ইতিহাসের দিকে।

আল-আকসা চত্বরের রয়েছে বেশ কয়েকটি স্থাপনার কোটি মুসলমানের জন্য, কোনটি ইহুদিদের জন্য, আবার কোনোটি খ্রীস্টানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্থাপনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে তিনটি ধর্মের ইতিহাস। ১৪ হেক্টর এলাকা জুড়ে অবস্থিত আল-আকসা প্রাঙ্গণে রয়েছে আল-আকসা মসজিদ যা কিবলি মসজিদ নামেও পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে সোনালী গম্বুজ বিশিষ্ট ডোম অফ দ্যা রক। যা জেরুসালেম এর সবচেয়ে স্বীকৃত একটি ল্যান্ডমার্ক এবং এই দুটি পবিত্র হিসেবে বিবেচিত।

পূর্ব জেরুজালেমে পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত আল-আকসা মুসলিমদের কাছে হারামাল শরীফ নামে পরিচিত এবং ইহুদীদের কাছে পরিচিত টেম্পল মাউন্ট হিসেবে। এখানে ১৫ টি গেট ছিল যে দিক দিয়ে ময়দানে প্রবেশ করত জেরুজালেমের ওল্ড সিটি থেকে আসা ধর্মানুরাগীরা। গেটের মাত্র ১০ টি এখন ব্যবহৃত হয় এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ইসরাইলি সেনা ও পুলিশ। আল-আকসার প্রথম ছোট একটি মসজিদ নির্মাণ করেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর। ৭০৫ খ্রিস্টাব্দে এখানে প্রথম বড় আকারের মসজিদ নির্মাণ করা হয়। দু’দফা ভূমিকম্পের ধ্বংস হয়ে গেলে তারপরে পুনর্নির্মাণ করা হয়।

কয়েকবার সংস্কার কাজও করা হয়। জেরুজালেমের সিটির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত আল-আকসার ডোম অফ দা রক শহরজুড়ে দৃশ্যমান। বাইরের দেয়ালসহ ১ লক্ষ ৪৪ হাজার বর্গমিটার এর এই স্থাপনায় রয়েছে মসজিদ নামাজের ঘর উঠানো ধর্মীয় বিভিন্ন স্থাপনা।

আরবি ভাষায় আল-আকসার দুটি অর্থ রয়েছে। সবচেয়ে দূর, যা মক্কা থেকে এর দূরত্ব বুঝায়। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনে এই বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ হিসেবেও মুসলিমদের কাছে এর মর্যাদা ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। আল-আকসা মসজিদ মসজিদুল আকসা বায়তুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত মুসলিমদের কাছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন নবী মোহাম্মদ মিরাজের রাতে কাবা শরীফ থেকে প্রথমে আল-আকসা এসেছিলেন এবং মিরাজের গমনের আগে মহানবী (সাঃ) এখানে সব নবীদের সঙ্গে নামাজের সময় ইমাম হিসেবে নামাজ আদায় করেন।

এই প্রাঙ্গণের যেমন ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে এর পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের সংস্কৃতি ও জাতীয়তার প্রতীকও এটি। সোনালী ডোম অফ দ্যা রক সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে স্বীকৃত এবং এই স্থানে প্রার্থনা করতে আসতে পারে একটি বড় সুযোগ বলে মনে করেন মুসলিমরা। বর্তমান সীমানা গুলো তৈরি হবার আগের বছরগুলোতে সেই পুরনো আমলের মুসুল্লিরা পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও সেই সফরে জেরুজালেমকে অন্তর্ভুক্ত করতেন।

আল-আকসার বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণ এখনো হাজার হাজার ধর্মানুরাগী কে আকৃষ্ট করে। যারা প্রতি শুক্রবার জামাতে নামাজের জন্য জড়ো হন। আল-আকসা প্রাচীনতম মসজিদ গুলোর একটি। মিরাজের রাতে এই মসজিদ এই নামাজ আদায় করেছিলেন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মক্কায় হজ ও ওমরা পালনের আগে আল-আকসা ছিল মুসলিমদের কাছে প্রধান ধর্মীয় স্থান।

ইহুদীরা বিশ্বাস করে টেম্পল মাউন্ট এই তাদের পয়গম্বর আব্রাহাম তারপুত্র ইসমাইলকে উৎসর্গ করার জন্য নিয়ে এসেছিলেন। এখানে উল্লেখ্য ইহুদিদের পায়গম্বার আব্রাহাম ইসলাম ধর্মে নবী ইব্রাহিম হিসেবে পরিচিত। ইহুদিরা বিশ্বাস করে এখানেই ছিল ইহুদিদের প্রথম ও দ্বিতীয় পবিত্র উপাসনালয়। তারা মনে করে তিন হাজার বছর আগে রাজা সোলেমান এখানে প্রথম উপাসনালয় নির্মাণ করেছিলেন। যে ধ্বংস করেছিল ব্যাবিলনীয়রা আর দ্বিতীয় উপাসনালয়টি ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমান বাহিনী ধ্বংস করে দেয়।

এখানে একটি খ্রিস্টান ব্যাসিলিকা ছিল যা একই সাথে ধ্বংস হয়। সেই উপাসনালয়ে শুধুমাত্র পশ্চিম দিকের দেয়াল এখনো টিকে আছে এবং এই ইহুদীদের প্রার্থনার স্থান। ইহুদীদের মতে আল আকসায় ফাউনডেশন স্টোন বা বিশ্বের ভিত্তি পাথরের অবস্থান্ যেখান থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল বলে তারা বিশ্বাস করে।

অন্যদিকে খ্রিষ্টানরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে এটাই সেই জায়গা যেখানে যীশু খ্রীষ্ট ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন আর এখানকার গুহাতেই তার দেহ রাখা হয়েছিল ইসরাইল 967 সালের জেরুজালেম ও পশ্চিম তীর দখল করে নেবার আগে এটি নিয়ন্ত্রণ করত জর্ডান এখন পূর্ব জেরুজালেম ইসরায়েল অধিকৃত হলেও আল-আকসা বা টেম্পলমাউন্ট নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করে জর্ডান ফিলিস্তিনের একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান। জেরুজালেমের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ল্যান্ডমার্ক রয়েছে আল-আকসায় এবং ইসলামিক যুগের প্রারম্ভিক পর্যায় এর ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে এই প্রাঙ্গণে। ধর্মীয় ভবন বিভিন্ন ধরনের গম্বুজ মিনারের ঐতিহাসিক কাঠামো ছাড়াও রয়েছে ৩০টি পানির উৎস। যার মধ্যে ওযু করার জন্য ব্যবহৃত কূপও রয়েছে। ইসলামী স্থাপত্যে প্রাচীন নমুনা দেখা মেলে আল-আকসায়।

আল আকসায় চারদেয়ালের অভ্যন্তরে রয়েছে মেম্বার এবং মামলুক ও আইউবি যুগের ঐতিহাসিক বিদ্যালয়ের নিদর্শনও আছে এখানে। আরবি ভাষায় ডোম অফ দ্যা রক কে কুব্বাত আল সাকরা বলা হয়। যেটি ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। মক্কার আগে মুসলিমরা স্থানকে কিবলে হিসেবে ব্যবহার করতেন অর্থাৎ এই দিকে ফিরেই নামাজ পড়তেন তারা।

উমাইয়া খলিফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান এর নির্দেশে ৬৯২ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয় অষ্ট কোন বিশিষ্ট  স্থাপনা ডোম অফ দ্যা রক। হারাম শরীফের উপর অবস্থিত সোনালী গুম্বুজটি ইসলামী স্থাপত্যের অন্যতম একটি নিদর্শন। এর মধ্যে খানে রয়েছে একটি পাথর যাকে কেন্দ্র করে  এই স্থাপনা নির্মিত। এ জন্যই একে বলে কুব্বাত আল সাখরা  বা ডোম অফ দ্যা রক। ইহুদীদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই পাথর হলে ফাউন্ডেশন স্টোন যা মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু। আর ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী তার ভেতরে রয়েছে সেই পাথর যেখান থেকেই ইসলামের নবী মেরাজে গিয়ে ছিলেন মুসলমানরা বিশ্বাস করেন।

আল আকসার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল মসজিদের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ওয়েটার্ন ওয়াল যা আল-বোরাক প্রাচীর নামেও পরিচিত। মরক্ক গেট, প্রফেট গেট বা বাব্বাল গেট এর মাঝখানে রয়েছে প্রাচীরটি এবং এই এলাকায় একটি ছোট মসজিদ রয়েছে যা বুরাক মসজিদ নামে পরিচিত। যেটা ৪০৭ থেকে ৪৩৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল।

প্রায় ২০ মিটার লম্বা ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রচীর নিয়ে মুসলিমদের বিশ্বাস হলো বিশ্বনবী মুহাম্মদ মিরাজে যাবার আগে আল-বোরাক নামে পরিচিত একটি ডানাওয়ালা ঘোড়ার মত প্রাণীকে বেঁধে রেখেছিলেন এখানে। অন্যদিকে টেম্পল মাউন্ট কে ঘিরে থাকা অন্যদের কাছে পৃথিবীর ভিত্তি প্রস্তুর হিসেবে স্বীকৃত ও পবিত্র স্থান। চুনা পাথর দিয়ে বানানো প্রাচীন এই দেয়ালটি প্রেস অফ উইপিন বা কান্নার জাগয়া নামেও পরিচিত।

ইহুদিরা বিশেষ করে যে এটি হেরোডিয়ান উপাসনালয়ের শেষ অবশিষ্ট কাঠামো যা রাজা হেরোডিয়ান এর সময় ১২৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্প্রসারিত করা হয়। রোমানরা ৭০ খ্রিস্টাব্দে করেছিল একটি  এবং প্রতি বছর কয়েক হাজার ইহুদি ওয়েস্টার্ন ওয়ালে সমাবেত হন এবং এই দেয়ালটি ধরে প্রার্থনা করেন ইহুদি ধর্মলম্বিরা। দেয়ালের ফাঁক-ফোকরে দেখা যায় অসংখ্য টুকরো টুকরো কাগজ গুজে রাখা। সেগুলোর মধ্যে লেখা থাকে এখানে আসা মানুষজনের প্রার্থনার কথা। তারা বিশ্বাস করেন এই প্রাচীর হলো সেই জায়গা যেখানে তাদের ঈশ্বর সব সময়ই উপস্থিত থাকেন।

আল-আকসা মসজিদ মানে কোন একক মসজিদ নয়। আল আকসা মসজিদ মানে কিবলী মসজিদ,মারুয়ানী মসজিদ, ও বোরাক এর সম্বয়। রুপালি গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ আল-আকসার দক্ষিণ প্রান্তের দিকে রয়েছে এবং এটি প্রাঙ্গণে মুসলমানদের নির্মিত প্রথম ভবন।

এটা এখানকার সবচেয়ে উল্লেযোগ্য স্থাপনা গুলোর মধ্যে একটি এবং এখানে মুসল্লীরা নামাজ পড়েন একজন ইমামের নেতৃত্বে। মুসলমান ৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে যখন জেরুজালেমে প্রবেশ করে তখন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর বিন আল খাত্তাব এবং তার সঙ্গীরা মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন। তখন কিন্তু এলাকাটি অবহেলিত ছিল এটা প্রথমে একটা সাধারন ভবন ছিল। কাঠের গুঁড়ির ওপর ভিত্তি করে যেটার কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে মসজিদটির যে কাঠামো দেখা যায় তা প্রথম নির্মিত হয়েছিল উমাইয়া খলিফা আব্দুল মালেক ইবনে মারওয়ান এর আমলে অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে

বেশ কয়েকবার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মসজিদটি যা পরে পুনঃ নির্মাণ করা হয় কয়েকবার সংস্কার কাজ করা হয় এর সংস্কার কাজটি হয়েছিল অটোম্যান আমলে। সে সময় সুলতান সুলেমান মসজিদ প্রাঙ্গণে বেশ কয়েকটি সাইট পুনরুদ্ধার করেছিলেন এবং সেখানে কার্পেট ও নানা ধরনের লন্ঠন স্থাপন করেছিলেন।

বর্তমানে মসজিদটির ৯টি প্রবেশ পথ রয়েছে। পাথর ও মার্বেলযুক্ত কাঠামোর স্তম্বের উপর দাড়িয়ে আছে মসজিদটি। পাথরের স্তম্বগুলো প্রাচীন ২০ শতকের গোড়ার দিকে যে স্বংস্কার হয়েছিল তখন মার্বেল গুলো যুক্ত করা হয়। ৮০ মিটার দৈর্ঘ্য ৫৫ মিটার এই মসজিদটিতে প্রায় সাড়ে পাচ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। ধর্মীয় আচার পালনের চেয়ে আল আকসা সাংস্কৃতি জয়গা বলে মনে করে থাকে ইহুদিরা। যেখানে তারা একত্রে হয়ে আনন্দ উল্লাস এবং শোক পালন করতে পারেন। অনেক ফিলিস্তানি মসজিদে ছোট বেলা থেকে আসেন এবং নিয়মিত সালাত আদায় করে থাকে এবং তাদের কাছে আল আকসা দেশের সর্বচ্চো সীকৃত প্রতীক। রমজানে অনেকেই আসেন রোজা ভাঙ্গার জন্য এবং শুক্রবার নামাজ আদায় করেন। যদিও ইহুদিদের বিধিনিষেধেও উপর নির্ভর করে আসা যাওয়া তারপরও এসব বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করেই অনেকে যান।

আরও পড়ুন-

ক্যান্সারের কমন লক্ষণ সমূহ গুলো যে ভাবে বুঝবেন

মসজিদটির প্রতি ফিলিস্তিনিদের যে ভালোবাসা এবং ভক্তি শ্রদ্ধা সেটাকে কট্টরপন্থী ইহুদীরা হুমকি হিসেবে দেখে। আল আকসা হলো মুসলিম, ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের কাছে পবিত্র স্থান। যুগ যুগ ধরে এই এলাকা ধরে চলছে বিবাধ। বলা যায় ঔতিহাসিক ভাবে এটা বিবাধের ইসু। ফিলিস্তানিরা ইসরাইল সরকারের সাথে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে আল আকসায় নামাজ আদায় করার অনুমতি পেয়েছে এবং খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষ ও ইহুদীরা শুধু মাত্র সাপ্তাহে পাচ দিন পর্যটন হিসেবে যেতে পারবে এবং দিনে চার ঘন্টা সময় পাবেন ওই এলাকা ঘুরে দেখার জন্য। কিন্তু ইহুদীরা বিভিন্ন নিয়ম ভঙ্গ করে আল আকসায় যাতায়াত করে। এমনকি অনেক ইহুদি মুসলমানের ছন্দ বেসে সেখানে গিয়ে প্রার্থনা করে থাকে। ইহুদীরা তখনই মুসলিমদের উপর সহিংসতা করে থাকে যখন তারা আল আকসায় প্রার্থনা করতে যায়। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে এটা বহুগুনে বেড়ে যায়।

One thought on “আল আকসা ও মুসলিমদের প্রথম কেবলা

মতামত শেয়ার করুন