দজ্জাল এর আগমন এবং মহাম্মাদ (সাঃ) এর ভবিষ্যৎ বাণী

দজ্জাল এর আগমন এবং মহাম্মাদ (সাঃ) এর ভবিষ্যৎ বাণী

দজ্জাল এর আগমন এবং মহাম্মাদ (সাঃ) এর ভবিষ্যৎ বাণী

ফিলি্স্তিনের মূল শহর হল জেরুজালেম ঔতিহাসিক ভাবে ইহুদি, খৃস্টান আর মুসলমানদের কাছে এটি একটি পবিত্র শহর। একসাথে তিন ধর্মের মানুষ এখানে পাশাপাশি বসবাস করত দীর্ঘকাল ধরে। সংকটের মূলে আছে শহরের মালিকানা। মাত্র৭৫ বছর আগে মানের ১৯৪৭ সালের এই অঞ্চলটি ছিল ফিলিস্তিনি আরবদের। পেশী শক্তির জোরে পুরো এলাকাটি এখন দখলে নিয়েছে পশ্চিমা মদদপুষ্ট ধর্মভিত্তিক ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল। আজকের মানচিত্রে দিকে তাকালে দেখা যাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ৭৮ শতাংশ ইসরাইলের দখলে আর মাত্র ১২ শতাংশ ভূমি নিয়ন্ত্রণে আছে ফিলিস্তিদের।

পৃথিবীর ইতিহাসে ফিলিস্তিন একমাত্র দেশ যারা মানবিকতা দেখাতে গিয়ে নিজেদের ভূখণ্ড সম্পূর্ণ হারাতে বসেছেন। অথচ এই ইহুদীদের সমগ্রজগতের মালিক ল্যাটালেহা তাদের বারবার বিতাড়িত করেছেন। তাদের বিশ্বাস ইহুদিদের পরিত্রাতা মসিহ্ ফিরে আসবেন। ফিলিস্তিনের পবিত্র শহর জেরুজালেমের ইহুদিদের কাঙ্খিত রাষ্ট্রের যোগ্যতম স্থান হল ফিলিস্তিন।

এখানে মসিহ্ বলতে তারা দাজ্জাল কে মানেন। হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন হযরত আদম আলাইহিস সাল্লাম এর জন্ম থেকে মহাপ্রলয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দাজ্জালের বিপর্যয় ও বেদনার চেয়ে বিরাট ফেতনা আর কোন কিছুই হবেনা (মুসলিম)। দাজ্জাল সম্পর্কে ইহুদিদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো সে ইহুদিদের সম্রাট হবে। সকল ইহুদিকে বায়তুল মোকাদ্দাসে প্রতিষ্ঠা করবে অথচ বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের জন্য অতি পবিত্র স্থান।

যেখান থেকে আল্লাহর হাবিব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করতে রওনা হয়েছিলেন। অধিকৃত ফিলিস্তিনি জেরুজালেমের অবস্থিত এই আল-আকসা মুসলমানদের প্রথম কেবলা। ইহুদীদের কাছে যা টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত। আল-আকসা চত্বরে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ এবং তার আশপাশের এলাকা নবী-রাসূলের স্মৃতিবিজড়িত স্থান। এখানে রয়েছে অসংখ্য নবী রাসুলের সমাধিস্থল। নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,  আলোক উৎসের অর্থাৎ জেরুজালেমের এমন কোনও জায়গা খালি নেই যেখানে একজন নবী নামাজ আদায় করেন নি বা সেখানে কোন ফেরেশতা দাঁড়ায় নি (জামে তিরমিজি)।

দাজ্জালের সঙ্গে ইতিমধ্যে ইহুদিদের যোগাযোগ শুরু হয়ে গেছে। বিষয়টি শুনতে বিস্ময়কর মনে হতে পারে কারণ এই মুহূর্তে পৃথিবীতে দাজ্জালের অবস্থান কোথায় সুনির্দিষ্টভাবে কারো জানা নেই। তবে একজন শীর্ষ ইহুদি ধর্ম যাজক দাবি করেছেন দাজ্জালের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে এবং সে শিগগিরই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন।

জেনকেনোফস্কি নামক ইহুদি ধর্ম যাজক এ দাবি কতটুকু যৌক্তিক তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর একটি হাদিস বিশ্লেষণ করলে কিছুটা অনুমান করা যায়। মহিলা সাহাবী ফাতিমা বিনতে কায়েস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন মুসলিম শরীফসহ কয়েকটি গ্রন্থের আছে বিখ্যাত সেই হাদীসটির সংক্ষিপ্ত হচ্ছে এই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তামিম আদনানী ছিলেন একজন খৃষ্টান সে আমার কাছে আগমন করে ইসলাম গ্রহণ করেছে। সে একটি ঘটনার বর্ণনা করেছে যেটা তোমাদের কাছে আমার বলা দাজ্জালের ঘটনার সাথে সম্পূর্ণ মিলে যায়।

তামিম আদনানী বলেছে কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে আমি একবার সমুদ্র ভ্রমণে বের হয়ে একসময় ঝড়ের কবলে পড়ে দীক্ষান্ত হয়ে যায়। এক মাস পর্যন্ত সমুদ্রের ঢেউ আমাদের নিয়ে খেলা করতে থাকে। পরিশেষে ঢেউ পশ্চিম দিকের একটি দ্বীপে আমাদেরকে নিয়ে পৌঁছায়। তারপর আমরা ছোট ছোট নৌকায় চড়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করি। সেখানে এক বিশেষ প্রাণীর সন্ধান পাই প্রানীটি স্থুল ও ঘন চুল বিশিষ্ঠ।

সে জাসাসা সংবাদ সংগ্রহ কারী গোয়েন্দা বলল তোমরা ওই ঘরের দিকে যাও সেখানে একজন তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সেখানে আমরা দীর্ঘ কয়েক মানবকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেলাম। এমন ভয়ঙ্কর মানুষ আমরা ইতিপূর্বে আর কখনো দেখিনি। তার হাত দুটিকে হারের সঙ্গে একত্রিত করে হাঁটু এবং গোড়ালির মধ্যবর্তী স্থানে লোহার শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। সে শুরুতে আমাদের পরিচয় জানতে চাইলো। আমরা পরিচয় দিলে সে বলে আমাকে তেমুরা বাড়ি স্থান সম্পর্কে সংবাদ দাও। সেখানে খেজুর গাছ গুলো কি এখনো ফল দেয়? ’হ্যাঁ’ সে বলে সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন গাছগুলোতে কোন ফল ধরবে না। এরপর সে বলল আমাকে তাবরিয়া উপসাগর সম্পর্কে সংবাদ দাও সেখানে কি এখনো পানি আছে। বললাম প্রচুর পানি আছে, সে বলল অচিরেই সেখানকার পানি শেষ হয়ে যাবে। সে আবার বলল আমাকে জুগারের কুপ সম্পর্কে সংবাদ দাও। সেখানে কি এখনো পানি আছে? বললাম প্রচুর পানি রয়েছে, লোকেরা সে পানি দিয়ে চাষাবাদ করছে।

আমাকে উম্মিদের নবী সম্পর্কে জানাও সে প্রশ্ন করলে আমরা বলি তিনি মক্কায় আগমন করে বর্তমানে মদিনায় হিজরত করেছেন। আরবরা কি তার সাথে যুদ্ধ করেছে? তার প্রশ্নের জবাবে আমরা বলি হ্যাঁ পার্শ্ববর্তী আরবদের উপর তিনি জয়লাভ করেছেন। ফলে তারা তাঁর আনুগত্য স্বীকার করে নিয়েছে সে বলল তার আনুগত্য করায় তাদের জন্য ভালো।

এরপর সে বলল এখন আমার কথা শোনো, আমি হলাম দাজ্জাল। অচিরেই আমাকে এখান থেকে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। আমি বের হয়ে ৪০ দিনের মধ্যে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করব। তবে মক্কা মদীনায় প্রবেশ করে আমার জন্য নিষিদ্ধ থাকবে। এরপর রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম সাহাবীদের লক্ষ্য করে বললেন তামিম আদনানী বর্ণটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তার বর্ণনা আমার বর্ণনার অনুরূপ হয়েছে। বিশেষ করে মক্কা ও মদীনার সম্পর্কে শুনে রাখ সে আছে। সে সিরিয়ার সাগরে ভূমধ্যসাগরে অথবা ইয়েমেনের সাগরে না। বরং পূর্বদিকে আছে সে পূর্ব দিকে আছে এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু ইসলাম পূর্ব দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন।

এই ঘটনা থেকে এটা সুস্পষ্ট দাজ্জালের জন্ম হয়েছে অনেক আগেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময় সে ছিল। এ হাদীসটি বিশ্লেষণ করলে আমরা কিছু বিষয়ে ধারণা পায় ইসলাম গ্রহণের পূর্বে দাজ্জালের সঙ্গে সাহাবী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর সাক্ষাৎ হয়েছিলো এ থেকে বোঝা যায় দাজ্জালের সঙ্গে সাক্ষাতে সম্ভব।

হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন পৃথিবীতে যত নবী রাসুল এসেছেন। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ উম্মতকে মিথ্যাবাদী কানা দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছে। দাজ্জাল কানাই হবে, আর তোমাদের রব অবশ্যই কানা নন। আর দাজ্জালের দু চোখের মাঝখানে লেখা থাকবে কাফিরুন (সহি বুখারি)  অন্য একটি  হাদীসে এসেছে দাজ্জালের ডান চোখ কানা হবে সেটি হবে ফুলে থাকা আঙ্গুরের মত দেখাবে। এমন কি তার মাথার চুলগুলো হবে ঘন ও এলোমেলো।

তার সঙ্গে জান্নাত ও জাহান্নাম থাকবে এটা মূলত তার জাহান্নাম ও জান্নাত আর জান্নাত হল জাহান্নাম । দাজ্জালের কপালে লেখা কাফিরুন অর্থাৎ কাফির শব্দটি দেখেই আল্লাহ সব মুমিন বান্দা থাকে চিনতে পারবে এবং নিজেদেরকে তার ফিতনা সম্পর্কে সতর্ক রাখতে পারবে। যা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার অন্যরকম মজেজা। কেননা এ লেখাটির লেখাপড়া জানা অজানা সব মুমিন পড়তে পারবেন।

এক গ্রামলোক তাদের নিকট আসবে এবং বলবে হে আমাদের রব আপনি আমাদের জন্য আমাদের উঠ বকরিগুলো কে জীবিত করে দিন। দাজ্জাল তাদেরকে উঠ বকরির আকৃতিতে কতগুলো শয়তান দিয়ে দেবে। হাদীসে উল্লেখ আছে দাজ্জাল এক মুসলিম দূতরক থেকে জীবিত ধরে বলবে এই সেই লোক যে মনে করে আমি তাকে কাবু করতে পারবোনা। নাও, একে নির্মমভাবে হত্যা করে ফেলো এই মুসলিমদেরকে করাত দারা ছিড়ে ফেলা হবে। এরপর সে জনতার উদ্দেশ্যে বলবে আমি যদি এই লোকটিকে মেরে জীবিত করে দেই তাহলে কি তোমরা বিশ্বাস করবে আমি তোমাদের রব। এরপর লোকটি কে মেরে জীবিত করে তোলা হবে। মূলত আল্লাহর ইচ্ছায় সে জীবিত হবে কিন্তু এই লোকটি ব্যতীত আরশের আযীম মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আরে কারো ক্ষেত্রে দাজ্জালকে সে শক্তি দেবেন না যে কাউকে হত্যা করে সে আবার তাকে জীবিত করবে।

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন তোমাদের কেউ যখন নামাজে তাশাহুদ পাঠ করবে তখন সে যেন চারটি বিষয় থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে। বলবে আমি জাহান্নামের শাস্তি কবরের শাস্তি জীবন-মৃত্যুর ফেতনা ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। সহিমুসলিম হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন বায়তুল মাকদিস আবাদ হওয়া মদিনার ক্ষতির কারণ হবে। মদিনার ক্ষতি মহাযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করবে। মহা কুস্তস্তনিয়ার অর্থ্যাৎ ইস্তাম্বুল এর বিজয়ের কারণ হবে। কুস্তুন্তনিয়ার বিজয়ের কারণ দজ্জালের আগমনের কারণ হবে।

এখানে বায়তুল মাগদাসের আবাদ হওয়া ইহুদীদের শক্তিকে বুঝানো হয়েছে। অন্য একটি হাদিসে উল্লেখ আছে হযরত আব্দুল্লা ইবনে বুসর (রা) বর্ণিত আল্লাহর রাসূল (সা) বলেছেন, মহাযুদ্ধ ও কুস্তুন্তনিয়া জয়ের মাঝখানে সময় যাবে ছয় বছর। সপ্তম বছরে দাজ্জাল আত্নপ্রকাশ করবে।

দজ্জাল এর আগমন  ইসহাক ইবনে আব্দুল্লা বর্নণা করেন, আমি আনাস ইবনে মালেক কে বলতে শুনেছি, ইস্ফাহানের সত্তর হাজার ইহুদী দাজ্জালের অনুসারী হবে। তাদের গায়ে সবুজ বর্ণের চাদর বা জুব্বা থাকবে (সহিস মুসলিম)।

হযরত আমর ইবনে হুরাইছ হযরত আবু বক্কর (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন- দাজ্জাল এমন একটি জায়গা থেকে প্রকাশ হবে যেটি হবে মধ্যেপ্রাচ্যে এবং জায়গার নাম হবে খোরাসান। তার সঙ্গে অনেক দলের মানুষ থাকবে। তাদের মধ্যে এক দলের চেহারা স্ফীত ঢালের মতো হবে (মুসনাদে আহমদ)।

এই হাদিসে খোরাসানকে দাজ্জালের আর্বিভাবের স্থান বলা হয়েছে। এর আগের বর্ণনায় বলা হয়েছে স্পাহান। এই দুই বর্ণনায় মূলত কোন বিরোধ নেই স্পাহান ইরানের একদিকের প্রদেশ আর ইরান এক সময় খোরাসানের অন্তভুক্ত ছিল।

আরও পড়ুন-

এলার্জির ভয়ংকর লক্ষণ এবং তার প্রতিকার

দাজ্জাল আরবী শব্দ দাজলুন থেকে এসেছে। দাজলুন অর্থ আচ্ছাদান আর দাজ্জাল শব্দের অর্থ অনেক আচ্ছাদনকারী। কারণ সে মিথ্যা ও প্রতারনার মাধ্যমে সত্যকে ঢেকে ফেলবে মিথ্যা ও প্রতারনার মাধ্যমে সে বড় বড় লোকদের বিভ্রান্ত করে ফেলবে। তার প্রতারনায় পড়ে মানুষ অতি তাড়াতাড়িই তাদের ইমান হারাবে। এভাবে দাজ্জার ৪০ দিন দুনিয়াতে থাকবে বলে নবী (সাঃ) বিভিন্ন হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।

দজ্জাল এর আগমন সর্ম্পকে নবী কারিম (সাঃ) বলেন, দাজ্জাল পৃথিবীতে ৪০ দিন অবস্থান করবে। তখন প্রথম দিনটি হবে এক বছর এর সমান এবং দিতৃীয় দিনটি হবে এক মাস আর তৃতীয় দিনটি হবে এক সাপ্তাহ। তারপর বাকী দিনগুলো সাভাবিক ভাবেই হবে (মুসনাদে আহমাদ)।

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেন- মুসলমানরা তখন ‍যুদ্ধের জন্য কাতার বন্দী থাকবে এবং এমন সময় ফজরের ইকামত কালে হযরত ঈসা বিন মারিউম (আ) অবতরন করবেন। রাসূল (সাঃ) আরও বলেছেন হযরত ঈসা (আ) দাজ্জালকে লূদ শহরের প্রধান ফটকের কাছে হত্যা করবেন।

কিভাবে? যখন হযরত মাহদী (আ) ফজরের নামাজ পড়ার জন্য দাড়িয়ে যাবেন তখন হযরত ঈসা (আ) আগমন করবেন। তখন ইমাম মাহদী ঈসা (আ) কে নামাজ পড়ার জন্য বললে হযরত ঈসা (আ) বলবেন তুমিই নামাজ পড়াও তোমার জন্য ইকামত দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে আর বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে। একজন সাধারণ বান্দা একজন রাসূল (সাঃ) এর ইমামতি করবে। নামাজ শেষ হলে হযরত ঈসা বলবে যে দরজা খুলে দাও। তখন সেখানে দজ্জাল বাহিরে অবস্থান করবে এবং তারা অত্যাধুনিক রনসাজে সজ্জিত থাকবে। সে হযরত ঈসা (আ) দেখে ভয় পেয়ে যাবে। সে পালানোর জন্য দৌড় দিবে তখন ঈসা (আ) তার পিছে ধাওয়া করবে এবং লূদ শহরের প্রধান ফটকের কাছে তাকে হত্যা করবে।

দজ্জাল এর আগমন সর্ম্পকে অনেক হাদিসেই বলা হয়েছে। তবে দজ্জাল আগমন কবে হবে তা এখনো স্পষ্ট করে কিছু জানা যায় নি।

One thought on “দজ্জাল এর আগমন এবং মহাম্মাদ (সাঃ) এর ভবিষ্যৎ বাণী

মতামত শেয়ার করুন