আসলেই কি বোতল বেচে বড়লোক হওয়া যায়!

বোতল বেচে বড়লোক

আসলেই কি বোতল বেচে বড়লোক সেই বিষয়টি জানবো আজ। এইরকমই ঘটনা ঘটে বিভিন্ন দেশে। জার্মানি রিসাইক্লিং এর ব্যাপারে খুবই  সচেতন একটি দেশ। বিশেষ করে প্লাস্টিক জিনিসটা কিছুতেই যাতে মাটিতে গিয়ে না পৌঁছায়, সে জন্য  সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। জার্মানিতে বিভিন্ন সুপার-মার্কেটগুলোতে থাকা একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিনের সামনে প্রায়ই অনেক মানুষের ভিড় দেখা যায়। স্বয়ংক্রিয় এই মেশিনে সবাই খালি প্লাস্টিকের বা কাচের বোতল ফেরত দেয়।

প্রক্রিয়াটি এরকম যে কেউ যখন কোন পানীয় কেনে তখন সেই বোতলের জন্য তার কাছ থেকে টাকা আমানত হিসেবে রেখে দেয়  বিক্রেতারা। পানীয় সেই খালি বোতলটি ফেরত দেওয়ার পর আমানত রাখা সেই টাকা তাকে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় । গোটা  জার্মানিতে বিষয়টি এমনভাবে করা হয়েছে যে কেউ যেকোনো জায়গায়  বোতল ফেরত  দিতে পারবে। অর্থাৎ, যেখান থেকে কিনেছে সেখানেই ফেরত দিতে হবে না। তাই বোতল বেচে বড়লোক হচ্ছে অনেকে।

দেশটিতে  মূলত দুই ধরনের খালি বোতল এমনভাবে ফেরত নেওয়া হয়।

    সবারআগে বাংলা অনলাইন নিউজ পেতে Google News ফিড ফলো করুন 

  • প্রথমটি হচ্ছে পুনরায় অনেকবার ব্যবহারের উপযোগী  কাচ বা নিরাপদ প্লাস্টিক হিসেবে বিবেচিত পিইটি প্লাস্টিকের তৈরি বোতল।
  • দ্বিতীয়টি হচ্ছে শুধুমাত্র একবার ব্যবহারের উপযোগী বোতলগুলোকে নিয়ে কিনা শুধুমাত্র রিসাইকেল করে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। এ ধরনের প্রতিটি খালি বোতল ফেরত দিলে ২৫ সেন্ট  পর্যন্ত ফেরত পাওয়া যায়। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২১.৪৯ টাকা।

স্বয়ংক্রিয় মেশিনে খালি বোতল ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ হলেও এটির পেছনে বেশ লম্বা এবং জটিল এক প্রক্রিয়া কাজ করে। বোতল বেচে বড়লোক

কেউ যদি কোকোকলার একটি বোতল ফেরত দেয় তাহলে সেটি স্বয়ংক্রিয় মেশিন থেকে ট্রাকভর্তি হয়ে চলে যাবে কোন সেন্টারে যেখানে এই সব বোতলগুলো আলাদা করা হবে। এভাবে কাচের এবং পিইটি প্লাস্টিকের বোতল গুলো রিসাইকেল না করেই ৫০ বার পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। কেননা সেগুলোর মান সহজে নষ্ট হয় না।

বিপত্তি বাধে শুধু একবার ব্যবহারের উপযুক্ত বোতলগুলোকে নিয়ে। কেননা সেগুলো প্রতিবার রিসাইকেল করতে হয়। আর প্রতিবারই রিসাইকেলে প্লাস্টিকের পরিমাণ এবং অন্যান্য উপাদান কমতে থাকে৷

জার্মানির বোতল ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থাটি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও একইভাবে সফল হবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা । কেননা এ ধরনের ব্যবস্থার সফলতা অন্য অনেক বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। তবে পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের প্রভাব কমানোর জন্য অন্য কোনো ভালো পন্থা বের না হওয়া পর্যন্ত ইউরোপের সব দেশে এমন ব্যবস্থা চালু করার পক্ষে বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন-

মতামত শেয়ার করুন